অভিমানী ভাই ঘরে ফিরলো দাদার ধমক খেয়ে : স্থগিত গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত

13th November 2020 10:18 am হুগলী
অভিমানী ভাই ঘরে ফিরলো দাদার ধমক খেয়ে : স্থগিত গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : অভিমান হয়েছিলো দলের সিদ্ধান্তে । বারবার বোঝানো সত্ত্বেও আর হাতে সময় নেই বলে বিধানসভার অধ‍্যক্ষের কাছে পদত‍্যাগপত্র জমা ও দিয়ে দিয়েছিলেন । এমনকি আজ তার অনুগামীরা গণ ইস্তফা দেবেন বলেও একপ্রকার মনস্থির করে ফেলেছিলেন । অবশেষে বড়ো দাদা 'র ধমক খেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলো । এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা । যাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আলোড়ন শুরু হয় রাজ‍্য রাজনীতিতে তিনি হলেন সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের অন‍্যতম মুখ হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না । সিঙ্গুরের বিধায়ক প্রবীণ মাষ্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এর সাথে দীর্ঘদিনের মত বিরোধ চলছে । সম্প্রতি দলের নির্দেশে সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন প্রবীন মাষ্টারমশাই । স্বদলবলে দল ছাড়ার ও হুঁশিয়ারী ও দেন তিনি । যাকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি বেচারাম মান্নার অনুগামী । দলের উচ্চ নেতৃত্ব ই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরী করছে বলে তোপ দেগেছিলেন বিদায়ী ব্লক সভাপতি মহাদেব দাস । পরিস্থিতি আঁচ করে বিদ্রোহী মাষ্টারমশাই এর সাথে আলোচনায় বসেন হুগলী জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব । এরপরেই কোন বাধা না মেনেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে দেন বেচারাম মান্না । জেলা কমিটির অন‍্যতম নেতা বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন , অনেকবার তাকে বোঝানো হয়েছিলো । একটু সময় নিয়ে বিষয়টি রাজ‍্য নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করে সমস‍্যার সমাধান করা হবে বলা হলেও বেচারাম কোনো কথাই শুনতে চায় নি । হরিপালের বিধায়কের আচমকা পদত‍্যাগ এর ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন শুরু হয়ে যায় । তৃণমূল ভবনে তাকে ডেকে পাঠান রাজ‍্য সভাপতি সুব্রত বক্সী । আলোচনার পর দাদার ধমক খেয়ে অভিমান ভাঙে ভাই এর । এমনটাই কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে । বিধায়ক পদেই থাকছেন বেচারাম মান্না । ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তি হরিপালের জোড়াফুল শিবিরে । যদিও তুঁষের আগুন এর মত আভ‍্যন্তরীণ ক্ষোভ কতদিন চাপা থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।