নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : অভিমান হয়েছিলো দলের সিদ্ধান্তে । বারবার বোঝানো সত্ত্বেও আর হাতে সময় নেই বলে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা ও দিয়ে দিয়েছিলেন । এমনকি আজ তার অনুগামীরা গণ ইস্তফা দেবেন বলেও একপ্রকার মনস্থির করে ফেলেছিলেন । অবশেষে বড়ো দাদা 'র ধমক খেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলো । এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা । যাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আলোড়ন শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে তিনি হলেন সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না । সিঙ্গুরের বিধায়ক প্রবীণ মাষ্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এর সাথে দীর্ঘদিনের মত বিরোধ চলছে । সম্প্রতি দলের নির্দেশে সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন প্রবীন মাষ্টারমশাই । স্বদলবলে দল ছাড়ার ও হুঁশিয়ারী ও দেন তিনি । যাকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি বেচারাম মান্নার অনুগামী । দলের উচ্চ নেতৃত্ব ই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরী করছে বলে তোপ দেগেছিলেন বিদায়ী ব্লক সভাপতি মহাদেব দাস । পরিস্থিতি আঁচ করে বিদ্রোহী মাষ্টারমশাই এর সাথে আলোচনায় বসেন হুগলী জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব । এরপরেই কোন বাধা না মেনেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে দেন বেচারাম মান্না । জেলা কমিটির অন্যতম নেতা বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন , অনেকবার তাকে বোঝানো হয়েছিলো । একটু সময় নিয়ে বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলা হলেও বেচারাম কোনো কথাই শুনতে চায় নি । হরিপালের বিধায়কের আচমকা পদত্যাগ এর ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন শুরু হয়ে যায় । তৃণমূল ভবনে তাকে ডেকে পাঠান রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী । আলোচনার পর দাদার ধমক খেয়ে অভিমান ভাঙে ভাই এর । এমনটাই কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে । বিধায়ক পদেই থাকছেন বেচারাম মান্না । ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় স্বস্তি হরিপালের জোড়াফুল শিবিরে । যদিও তুঁষের আগুন এর মত আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ কতদিন চাপা থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই ।